নভেম্বর 2017 ~ Technobd CsE This is all about technology,Letest techology update are publish here.new and fresh update news are publish here,free internet for android,pc problem,it,ict,fb hack,how to hack, haking tips,learning progamming,games,windows,spesial download file!

banarad

শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭

ই-কমার্স কি | এবং কিভাবে তৈরি করতে হয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট | গাইড লাইন |

By on নভেম্বর ২৫, ২০১৭

                       আসুন ই-কমার্সের সম্পর্কে কিছু জানি


অনলাইনে কেনা বেচার মাধ্যম হচ্ছে ই-কমার্স। ইলেকট্রনিক্স কমার্স বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয়, যেমন: মোবাইল কমার্স, ইলেকট্রনিক্স ফান্ড ট্রান্সফার, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, ইন্টারনেট বিপণন, অনলাইন লেনদেনের প্রক্রিয়াকরণ এবং ইলেকট্রনিক্স ডেটা ইন্টারচেঞ্জ (ইডিআই)। আধুনিক ইলেকট্রনিক্স কমার্স আমাদের জীবনে একটি গুরত্বপূর্ণ অংশ হয়ে আছে যা নাকি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ব্যবহার করে পরিচালিত হয়।


ই-কমার্স কি?

ইলেকট্রনিক কমার্স কে সংক্ষেপে ই-কমার্স বলা হয়। এটি একটি আধুনিক ব্যবসা পদ্ধতি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ ব্যবসা এবং লেনদেন পরিচালিত হয়ে থাকে। বস্তুত ইলেকট্রনিক কমার্স হচ্ছে ডিজিটাল ডাটা প্রসেসিং এবং ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সংক্রান্ত আদান প্রদান। সাধারণত এ কাজটি সম্পাদন করা হয় সবার জন্য উন্মুক্ত একটি নেটওয়ার্ক তথা ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তাই বলা যায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সংক্রান্ত আদান প্রদান বা লেনদেন করার প্রক্রিয়াই হলো ই-কমার্স।

ই-কমার্সের বির্বতন প্রক্রিয়াঃ

 ১৯৬০ সালে ইলেকট্রনিক্স ডেটা ইন্টারচেঞ্জ (ইডিআই) এর মাধ্যমে ই-কমার্সের যাত্রা শুরু হয়। ইন্টারনেটের প্রসারের সাথে সাথে দ্রুত ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। সেই প্রেক্ষাপটে ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালে এর ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে। বিশেষ করে ১৯৯৫ সালে আমাজন ও ইবের মাধ্যমে ই-কমার্সের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। ২০১০ সালের পরবর্তিতে মোবাইলের ব্যাপক প্রসারের সাথে সাথে ই-কমার্সের নতুন যাত্রা যোগ হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে। এর ফলস্রুতিতে ২০১৩ সালে ১.২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ই-কমার্সের মাধ্যমে কেনা-বেচা হয়, যার ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মোবাইলের মাধ্যমে আমেরিকার বাজারে কেনা-বেচা হয়। দিনদিন এর পরিমান বেড়েই চলছে।

ই-কমার্স প্রক্রিয়াটি যেভাবে কাজ করেঃ


ই-কমার্স সিস্টেমে একটি ওয়েব সাইট থাকে। উক্ত সাইটকে বলা হয় ই-কমার্স সাইট। ই-কমার্স সাইটে বিভিন্ন ধরনের পন্য এবং এদের দামসহ অন্যান্য বিবরণ দেওয়া থাকে।  ক্রেতা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন পণ্যের অর্ডার প্রদান করেন। অর্ডার গ্রহন করার জন্য ওয়েবসাইটে শপিং কার্টের ব্যবস্থা থাকে। তাতে ক্লিক করলে ক্রেতার কাছে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ প্রদান করতে বলা হয়। ক্রেতা ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহ করে উক্ত পরিমান অর্থ প্রদান করেন।  আর্থিক লেনদেনের এ বিষয়টি অত্যন্ত সুরক্ষিত উপায়ে সম্পন্ন হয়ে থাকে। অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়ার পর অর্ডার ফরমটির যাবতীয় কার্যক্রম সমপন্ন হয়ে যায়। এ সংক্রান্ত তথ্য একই সাথে ই-মেইল আকারে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং ওয়্যার হাউসে প্রেরিত হয়। প্রয়োজনীয় অর্ডার ফরমটি পৌছালে ক্রেতাকে উক্ত পণ্য সরবরাহের উদ্দেশ্য পণ্য পরিবহন সংস্থায় পৌঁছে দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট ক্যারিয়ার উক্ত শিপমেন্টকে নির্দিষ্ট সময়ে ক্রেতার বাড়িতে পৌছে দেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিববহনের জন্য কোন ফি নেওয়া হয় না আবার কোন কোন ক্ষেত্রে পরিববহনের জন্য অতিরিক্ত ফি নেওয়া হয়। এটা নির্ভর করে সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের উপর।


প্ৰাথমিক ভাবে ই-কমার্সকে চার ভাগে ভাগ করতে পারি। যেমনঃ

১. Business to Business (B2B)

২. Business to Consumer (B2C)

৩. Consumer to Consumer (C2C)

৪. Consumer to Business (C2B)

Bangladesh Trade

(১) Business to Business (B2B): B2B এমন একটি ই-কমার্স মাধ্যম, যেখানে একটি পাইকারী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সেবা অথবা পণ্য অপর একটি পাইকারী বা খুচরা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেচা-কেনা করা হয়। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই ব্যবসাটি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ বিশ্বব্যাপী যেকোন দেশের সাথে খুব সহজে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। এই ধরণের ওয়েবসাইটের মধ্যে জনপ্রিয় আলিবাবা, ইন্ডিয়ামার্ট, গ্লোবালসোর্স ইত্যাদি। ইতিমধ্যে আমাদের বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহতম ওয়েবসাইট হিসেবে বাংলাদেশ ট্রেড ডেভলাপমেন্ট কাউন্সিল (বিডিটিডিসি), তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

(২) Business to Consumer (B2C): ই-কমার্সের খুচরা বিক্রেতার সাথে ভোক্তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে B2C বলে। দৈনন্দিন জীবনে ভোক্তার প্রয়োজনীয় পণ্যসমূহ ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজেই খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে ক্রয় করতে পারছে। এর মধ্যে বহুল জনপ্রিয় হচ্ছে: ইবে, আমাজন ইত্যাদি।

আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীও পণ্যের বাজার সম্প্রসারনে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (বিডিটিডিসি) নামে এই প্রতিষ্ঠানটি। আগামীতে আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশীয় বাজার সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কাজী আহমেদ। B2B ধারার এই প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশিও পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে বিশ্বজুড়ে দেশী পণ্যের প্রদর্শনী করবে ও বিদেশী ক্রেতার সাথে দেশী বিক্রেতার যোগাযোগে গুরুত্বপূণ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মাধ্যমে তাদের ব্যবসার উন্নতির ধারাবাহিকতায় একটি নতুন মাত্রা যোগ হবে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে বহিঃপ্রকাশ পাবে। এরই মধ্যে উৎপাদিত পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে অনলাইনে পাইকারী সেবা দিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ট্রেড ডেভোলাপমেন্ট কাউন্সিল (BDTDC)



ই-কমার্সের মাধ্যমে যে ধরণের  সেবা পাওয়া যাবেঃ

অনলাইন পণ্য ও সেবা
১. স্ট্রিমিং মিডিয়া
২. ইলেকট্রনিক ই-বুক
৩. সফটওয়্যার
রিটেইল সেবা
১. ব্যাংকিং
২. ফুড অর্ডারিং
৩. অনলাইন ফ্লাওয়ার ডেলিভারি
৪. ডিভিডি রেন্টাল
৫. ট্রাভেল
মার্কেটপ্লেস সেবা
১. ট্রেডিং কম্যুনিটি
২. নিলাম
৩. অনলাইন ওয়ালেট
৪. বিজ্ঞাপন
৫. মূল্য যাচাইয়ের তুলনামূলক সেবা

এছাড়া ব্যক্তিগত পর্যায়ে উৎপাদিত বা তৈরিকৃত পণ্যের বিপনন প্রক্রিয়াটিও ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে করা যায়।আপনার পণ্যের বিপনন বা বিক্রির জন্য প্রয়োজন হবে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের। ওয়েব সাইটটিতে আপনি আপনার পণ্যের ছবি, মূল্য সহ অন্যান্য বিষয় গুলো তুলে ধরবেন ক্রেতাগণ সাইটটির মাধ্যমে আপনার পণ্যের গুনাবলি এবং বৈশিষ্ট্য জানতে পারবে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী অর্ডার করবে। এভাবে নির্দিষ্ট সিস্টেম অবলম্বন করে কাজটি সম্পন্ন করা হয়।


কয়েকটি ই-কমার্স সাইটের ঠিকানাঃ




১. Amazon.com
২. Ebay.com
৩. Quicker.com
৪. BestBuy.com ইত্যাদি।

এবার আসি কিভাবে নিজে  তৈরি করতে পারেন একটি ই-কমার্স ওয়েব সাইট সে বিষয়ে। একটি ই-কমার্স সাইট তৈরি করার জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন হবে তা হলোঃ
১. ডোমেইন
২. হোস্টিং
৩. অনলাইন শপিং কার্ট টুল
৪. অনলাইনে পেয়মেন্ট গেটওয়ে


এছাড়া অন্যান্য কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করেও আপনি ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে পারবেন।আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তিতে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা হবে একটি ই-কমার্স তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে। তাই সাথেই থাকুন ।ই-কমার্স ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার মতামত কিংবা বাংলাদেশে এর চাহিদা বা প্রচলন কেমন হবে কিংবা এটি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক ব্যবসায়ীদের জন্য এই সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট এ জানান।

বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭

ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম ‘উবুন্টু’

By on নভেম্বর ১৫, ২০১৭

                                            ‘উবুন্টু’



বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ক্রমবর্ধমান অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হচ্ছে উবুন্টু। উবুন্টু শব্দটি এসেছে একটি আফ্রিকান ধারণা থেকে যার অর্থ অনুবাদ করলে দাড়ায় অনেকটা অন্যের জন্য মনুষ্যত্ব এরকম। উবুন্টু হচ্ছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের একটি  সংস্করণ। একটি অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে সেই সফটওয়্যার যা আপনার কম্পিউটারকে চালায়।

মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্সের জনপ্রিয় ডিস্ট্রো উবুন্টুর পাশাপাশি রয়েছে এডুবুন্টু, গবুন্টু, কুবুন্টু, লুবুন্টু, উবুন্টু মোবাইল (মোবাইল সংস্করন) ইত্যাদি সংষ্করনও। উবুন্টু ডেস্কটপ ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি করা হলেও এর রয়েছে নেটবুক ও সার্ভার সংস্করন। উবুন্টু হচ্ছে সম্পূর্ণ আধুনিক একটি অপারেটিং সিস্টেম, যাতে উইন্ডোজ বা ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমে যা পাওয়া যায় তার সবকিছুই রয়েছে। এটি সবকিছুকে সহজভাবে উপস্থাপন করে এবং আধুনিকতম ফিচার প্রদান করে। এ অপারেটিং সিস্টেমে সংযুক্ত রয়েছে ওয়েবসাইট দেখার জনপ্রিয় সফটওয়্যার মজিলা ফায়ারফক্স, তাৎক্ষনিক বার্তা আদান-প্রদানের (চ্যাট) জন্য রয়েছে পিজিন ম্যাসেঞ্জার যা ইয়াহু, জিমেইল, এআইএম, এমএসএন-এর মত প্রায় সকল সার্ভার সাপোর্ট করে। লেখালেখি করা, স্প্রেডশীট, প্রেজেন্টেশনের জন্য রয়েছে ওপেন অফিস ডট অর্গ নামক সফটওয়্যার, ছবি সম্পাদনার জন্য রয়েছে জিআইএমপি সফটওয়্যার, গান শোনা ও ভিডিও গান দেখার জন্য রয়েছে রিদমবক্স, ভিএলসি প্লেয়ার ইত্যাদি। এই সকল প্রোগ্রামগুলো উবুন্টুর সাধারণ ইন্সটলেশনের সাথেই বিনামূল্যে পাওয়া যায়। পাশাপাশি আছে কোন সফটওয়্যার প্রয়োজন হলে সেটি ইনস্টল করার ব্যবস্থা। উবুন্টুর হার্ডওয়্যার সাপোর্ট খুবই চমৎকার। প্রাত্যহিক জীবনের সাউন্ডকার্ড, গ্রাফিক্সকার্ড, প্রিন্টার, ওয়্যারলেস, ক্যামেরা, ইউএসবি ড্রাইভ, আইপডসহ প্রায় সকল হার্ডওয়্যার সাপোর্ট করে উবুন্টুতে। উবুন্টু পুরাতন হার্ডওয়্যারেও ভাল কাজ করে। প্রায় সকল লিনাক্সের সংস্করণের মত, উবুন্টুও বিনামূল্যে পাওয়া যায়। উবুন্টু সম্পর্কে     বিস্তারিত জানা ও ডাউনলোড করা যাবে www.ubuntu.com ঠিকানা থেকে।

উবুন্টুর নানা ধরনের বৈচিত্রতা সম্ভব হয়েছে মুক্ত সফটওয়্যারের স্বাধীনতার কারণে। এখানে যে কেউ লিনাক্সের একটি সোর্স কোড নিয়ে, তাতে পরিবর্তন করে নিজের একটি সংস্করণ তৈরি করতে পারে। কোন কোন সংস্করণকে বাণিজ্যিকভাবে অর্থায়ন করা হয়, বাকীগুলো গঠিত হয় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা লিনাক্স ব্যবহারকারীদের বিশাল কমিউনিটির সুসংঘটিত একদল মানুষের প্রচেষ্টার মাধ্যমে। উবুন্টু গঠিত হয়েছে এই দুটি মাধ্যম দ্বারাই এটিকে অর্থায়ন করছে ক্যানোনিকাল নামক দক্ষিণ আফ্রিকান একটি প্রতিষ্ঠান যার গঠন হয়েছে ২০০৪ সালে। কিন্তু উবুন্টু বিশাল কমিউনিটির স্বেচ্ছাশ্রমের সুবিধাও নিয়ে থাকে। উবুন্টু গঠিত হয়েছে ডেবিয়ান (www.debian.org) নামক আরেকটি কমিউনিটি নির্ভর লিনাক্সের উপর ভিত্তি করে। যে বিষয়টি উবুন্টু উপস্থাপন করে তা হচ্ছে স্বাধীনতা, ব্যবহার এবং শেয়ারের স্বাধীনতা, এটি দিয়ে যে কোন কিছু করার স্বাধীনতা এবং শেখার স্বাধীনতা।

উবুন্টুর সুবিধা সমুহঃ

সাধারণ ভাবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম কিংবা ম্যাকিন্টোশ অপারেটিং সিস্টেমে যা পাওয়া যায় তার মধ্যে সব ধরনের সুবিধাই রয়েছে উবুন্টুতে। উবুন্টু সবকিছুকে সহজভাবে উপস্থাপন করে, পাশাপাশি থাকে আধুনিকতম ফিচার সুবিধা।  ওয়েব ব্রাউজিং এর জন্য রয়েছে মজিলা ফায়ারফক্স। বিশ্বের জনপ্রিয় ব্রাউজারের তালিকায় ফায়ারফক্সের অবস্থান বেশ শক্ত। ফায়ারফক্সে প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাড-অন্স যোগ করার অপশন থাকায় নিজের প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা সম্ভব হয়। ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিংয়ের জন্য রয়েছে পিজিন (Pidgin) যা ইয়াহু, জিমেইল, এআইএম, এমএসএন-এর মত প্রায় সকল সার্ভার সাপোর্ট করে। লেখালেখি করা, স্প্রেডশীট, প্রেজেন্টেশনের জন্য রয়েছে ওপেন অফিস ডট অর্গ (OpenOffice.org) নামক সফটওয়্যার, যা উইন্ডোজের মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মতোই। এতে করা যায় সব ধরনের অফিসিয়াল কাজই। ছবি সম্পাদনার জন্য রয়েছে জিম্প (GIMP)। এছাড়া গান শোনার জন্য আছে রিদম বক্স (RhythmBox) এবং ভিডিও দেখানোর জন্য আছে টোটেম, ভিএলসি  (Totem, VLC) প্লেয়ার। এ  সকল প্রোগ্রামগুলো উবুন্টুর সাধারণ ইন্সটলেশনের সাথেই বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে নিজের প্রয়োজনীয় যে কোন মুক্ত সফটওয়্যার নামিয়েও নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
উবুন্টুর হার্ডওয়্যার সাপোর্ট খুবই চমৎকার। সাধারণত আমাদের নিত্য যে ধরনের কাজের প্রয়োজন হয় তার সবই করা সম্ভব উবুন্টুর মাধ্যমে। এছাড়া উবুন্টুতে ইউএসবি মেমোরি ডিভাইস, ক্যামেরা, আইপড, স্মার্টফোনসহ অসংখ্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সিডির প্রয়োজন হয় না। প্র্যাক্টিক্যালি উবুন্টু ইন্সটল করার পর এই ডিভাইসগুলো সরাসরি ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠে। বর্তমান সময়ের উন্নত হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি উবুন্টু পুরোনো সংস্করনেও ভালো কাজ করে। প্রায় সকল লিনাক্সের সংস্করণের মত, উবুন্টুও বিনামূল্যে পাওয়া যায়। রিলিজের পর সাধারণত ১৮ মাস পর্যন্ত এর আপডেটগুলোও বিনামূল্যে পাওয়া যায়।